বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৩ অপরাহ্ন

সর্বশেষ :
শাকিবকে জড়িয়ে ধরে ‘ইমোশনাল’ পরীমণি মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্নপূরণে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধঃ ড. ইউনূস শেষ মুহূর্তে ভারতীয় দলে একাধিক পরিবর্তন ফের গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আটকে দিলো যুক্তরাষ্ট্র আগামী বছর জাতিসংঘে রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলন এক যুগ পর বিকেলে সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া পলাশবাড়ীতে ওয়ালটন ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ ও পুরস্কার বিতরণী পলাশবাড়ীতে ২০ হাজার টাকা মূল্যে বিক্রয় নিষিদ্ধ স্যাম্পল ওষুধ জব্দ ঢাকার সড়কে অটোরিকশা চালকরা, বন্ধ যান চলাচল সশস্ত্র বাহিনী দিবসঃ শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

নদী দূষণ এবং প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে রাজধানীতে কর্মসূচি পালিত

অগ্নিশিখা প্রতিবেদকঃ“নদী দূষণ বন্ধ কর, প্লাস্টিক দূষণ বন্ধ কর” এই শ্লোগানকে ধারণ করে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, বুড়িগঙ্গা রিভারকিপার এবং বুড়িগঙ্গা নদী মোর্চার যৌথভাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টায় কামরাঙ্গীরচরে হাজী আব্দুল আউয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ে বিশ্ব নদী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে বিশেষ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানের কর্মসূচিগুলোর মধ্যে ছিল চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা, পুরষ্কার বিতরণ, বুড়িগঙ্গা নদীর পাড়ের খোলামোড়া ঘাটে প্লাস্টিক বর্জ্য পরিচ্ছন্নতা অভিযান ইত্যাদি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, আমার ছোটবেলায় আমি যে নদী দেখছি আর এখন যে নদী দেখছি, তা আমাকে হতাশ করে। একসময়ের টলমল করা বুড়িগঙ্গা আজকে দুর্গন্ধময় নদী। আমাদের দেশ নদীমাতৃক দেশ। বিশ্বের আর কোথাও এতো নদী নেই। কিন্তু আমরাই বেশি নদী দূষণ করছি, দখল করছি। এখন আমাদের সচেতন হওয়া উচিত তাহলে এই দখল, দূষণ আর হবে না। দূষণ, দখল যে করবে তাকে শাস্তি দেওয়ার বিধান আছে কারণ নদীকে জীবন্ত সত্ত্বা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। আমাদের অভ্যাস করতে হবে যেন আমাদের দ্বারা দূষণ না হয়। এই অভ্যাসই হোক আমাদের নদী দিবসের অঙ্গীকার।

সভাপতির বক্তব্যে ইবনুল সাঈদ রানা বলেন, আজকের নদী দিবসে আমাদের অঙ্গীকার হচ্ছে নদী যেন দূষণ না হয়, দখল না হয়। আমরা যেন এই নদী দূষণে কোনভাবে দায়ী না থাকি। এই পৃথিবীর সবকিছুই আমার জন্য, তাহলে আমি কেন ক্ষতি করবো।

অতিথির বক্তব্যে ফয়সাল আহমেদ বলেন, আজকের দিনে আমার মনে হয় সকলের একটা শপথ নেয়া উচিত আর তা হল আমরা এই বুড়িগঙ্গা নদী নিজেরা কখনই দূষণ করবো না। আমরা চিপসের প্যকেট বা পানির বোতল নদীতে ফেলবো না। তাহলেই সম্ভব হবে দূষণ থেকে বেঁচে থাকা।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সচেতন নাগরিক সমাজ এর নির্বাহী পরিচালক এসএম জাহাঙ্গীর আদেল, নিরাপদ চিকিৎসা চাই এর মহাসচিব উম্মে সালমা, বনলতা নারী উন্নয়ন সংস্থ‘র চেয়ারম্যান ইসরাত জাহান লতা, বুড়িগঙ্গা নদী মোর্চার নেতা মানিক ব্যাপারী প্রমূখ। আলোচনা শেষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।

এর আগে একটি ওয়ার্কশপের মাধ্যমে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ এবং ক্যাপ্টেন প্ল্যানেট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে হাজী আব্দুল আউয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ২৭ সদস্য বিশিষ্ট প্ল্যানেটিয়ার্স ক্লাব গঠন করা হয়। ওয়ার্কশপ পরিচালনা করেন ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের যোগাযোগ ও অ্যাডভোকেসি বিভাগের ব্যবস্থাপক মামুন কবীর। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সদস্য আনিকা তাহসিন এবং শাহরিয়ার শাওন।

কর্মসূচির শেষে ধরা, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, বুড়িগঙ্গা রিভারকিপার, বুড়িগঙ্গা নদী মোর্চা এবং নবগঠিত প্ল্যানেটিয়ার্স ক্লাব এর উদ্যোগে বুড়িগঙ্গা নদীর পাড়ের খোলামোড়া ঘাটে প্লাস্টিক বর্জ্য পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা হয়।

 

 

খবরটি শেয়ার করুন